বাত কি?
বাত একটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক ও কষ্টদায়ক রোগ। আমাদের শরীরের হাড়, মাংস, অস্থিসন্ধিতে দীর্ঘমেয়াদি যে ব্যথা হয়ে থাকে, সেটাকে বাতব্যথা বলে থাকে। আমরা সাধারণত জানি বয়স্ক মানুষদের বাতের ব্যথা দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে একবারে কিশোর থেকে যেকোন বয়সের মধ্যেই বাতের ব্যথা দেখা যাচ্ছে। এটা খুবই একটি মারাত্মক রোগ। কারণ ব্যথার তীব্রতার কারণে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। তাছাড়া অনেকেই হাঁটা চলাফেরা করতে না পেরে বিছানা গত হয়ে যায়।
বাতেৱ কারণ-
বিভিন্ন কারণে বাতের ব্যথা হলেও মূলত প্রধান দুইটি কারণে বাতের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী ও কষ্টদায়ক হয়। যথা-
কোন রোগ প্রতিকার করতে চাইলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে যে, রোগটি কোথায় থেকে আসতেছে বা এর পিছনে কারণ কি?
তাই কারো বাতের ব্যথা কি কারনে হচ্ছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য খুব সহজে আমরা দুটি প্যাথলজিক্যাল টেস্ট RA Factor & Uric acid করে নিতে পারি।
যদি RA Factor স্বাভাবিক মাত্রা চাইতে অধিক আসে তাহলে বুঝতে হবে অটো ইমিউনিটি সিস্টেম ডিজঅর্ডারের কারণে বাতের ব্যথা হচ্ছে। এ বাতেৱ ৱোগ কোনদিন ভাল হয় না। তবে বিভিন্ন উপায়ে নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়। যেমন- ফিজিওথেরাপি, মেডিকেশন ও ইমিউনিটি উত্তেজক খাবার থেকে বিরত থেকে।
আর প্যাথলজিক্যাল টেস্টে যদি ইউৱিক এসিডেৱ মাত্রা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি আসে, তাহলে বুঝতে হবে রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেশি। আর অস্থিসন্ধিতে এই ইউরিক এসিড জমা হয়ে স্টোন তৈরি করে এ রোগের উৎপত্তি কৱছে। মূত্রের মাধ্যমে যে পরিমাণ স্বাভাবিক ইউরিক এসিড বেরিয়ে যায়, তার থেকে বেশি পরিমাণ ইউরিক এসিড যখন আমাদের যকৃত তৈরি করে তখনই তা রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। অথবা খাবারের মাধ্যমে বেশি পরিমাণ ইউরিক এসিডের উৎস যেমন লাল মাংস, ক্রিম, রেড ওয়াইন ইত্যাদি গ্রহণ করলে এবং বৃক্ক (কিডনি) রক্ত থেকে যথেষ্ট পরিমাণে তা ফিল্টার করতে না পারলে বাতের উপসর্গগুলো দেখা দেয়।
ইউরিক এসিডের কারণে বাতের ব্যাথা হলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যেকোনো উপায়ে যেমন মেডিকেশন, শারীরিক পরিশ্রম ও ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পায় এমন খাবার থেকে বিরত থেকে শরীর থেকে ইউরিক এসিড স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে পাৱলেই বাতেৱ ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি ও নিরাময়ের জন্য হোমিওপ্যাথি খুবই ভালো কাজ করে।
ডাঃমহিবুল ইসলাম মাছুম
চেম্বার:নিরাময় হোমিও হল
বাগমারা বাজার, উপজেলা লালমাই, কুমিল্লা।
01799720366