1. dainiklalmai@gmail.com : XC7ZGKLiZP :
  2. notonpakhi7@gmail.com : Md anwar : Md anwar
November 21, 2024, 12:40 pm
সর্বশেষ খবর
লালমাইয়ে ৮৪০০ জন ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ,সার ও নগদ অর্থ বিতরণ লালমাইয়ে সিধুচী হিযবুল্লাহ মহিলা দাখিল মাদ্রাসার অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত লালমাইয়ে বাগমারা উঃ ও দঃ ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে বিশাল জনসভা লালমাইয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটি গঠন লালমাইয়ে বাগমারা দঃ ইউনিয়ন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র ওয়ার্ড সম্মেলন অনুষ্ঠিত লালমাইয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কমিটি গঠন-দৈনিক লালমাই লালমাইয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত আর ডি এইচ মেকওভার এন্ড স্কিন কেয়ার সেলুন এর ৪র্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন  বাগমারা দারুত তাহযীব বালক মাদ্রাসার নতুন একাডেমিক ভবন উদ্বোধন লালমাইয়ে জাতীয় যুব দিবস উদযাপন

“ফেসবুক,টুইটার,ইউটিউবের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলো এখন আর সামাজিক নেই”

  • Update Time : Sunday, June 6, 2021
  • 605 Time View

ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলো এখন আর সামাজিক নেই। এসব এখন অসামাজিক কার্যকলাপসহ ভয়ংকর সব অপরাধ সংঘটনের প্ল্যাটফরমে পরিণত হয়েছে। টিকটক, লাইকি, নানা গেম অ্যাপসের ফাঁদে সর্বস্ব হারিয়েও জিম্মি থাকছে নারী-পুরুষ। এসব নেট যোগাযোগের সূত্র ধরে পরিচিতি, অডিও, ভিডিও রেকর্ডসহ নানারকম ব্ল্যাকমেলিংয়ের নির্মম শিকার হচ্ছেন অনেকেই। দিনের পর দিন ব্যক্তি পর্যায়ে, কখনো সংঘবদ্ধ চক্রের প্রতারণামূলক নিপীড়নের মুখে অনেকের সংসার ভেঙেছে, ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবন। সীমাহীন যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে অনেকে প্রাণ বিসর্জন দিতেও বাধ্য হয়েছেন। তবে এর ফাঁদে সবচেয়ে বেশি পড়ছে নারীরা। কাউকে বলতে পারে না। একা নিভৃতে গুমরে কাঁদে এমন হাজারো নারী।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে সংঘবদ্ধভাবে করা হচ্ছে নানা অপকর্ম। আর এসবের শিকার হচ্ছেন নারী-পুরুষ উভয়েই। এসব অপকর্মে অনেক সময় নারীদেরই ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আবার অনেকক্ষেত্রে পুরুষ নারীর সমন্বয়েই গড়ে ওঠে সংঘবদ্ধ চক্র। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বিভিন্নভাবে সংঘটিত হচ্ছে সাইবার অপরাধ। লাইভ ভিডিও, ছবির ট্রল বা বিকৃতকরণ, সাধারণ ভিডিওসহ নানা উপায়ে হেনস্তা করা হচ্ছে ব্যবহারকারীদের। আর ব্ল্যাকমেলের মতো গুরুতর অপরাধও সংঘটিত হচ্ছে অহরহ। প্রেম ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে থাকা যুগলদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি-ভিডিও নিজেদের মধ্যে শেয়ার করার ঘটনা নতুন নয়। পরবর্তীতে সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেলে সেগুলোকেই পুঁজি করে শুরু হয় ব্ল্যাকমেল। আবার মেয়ে হয়ে আরেক মেয়ের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব তৈরি করে সেই মেয়েকেও ফেলা হচ্ছে ফাঁদে। পরিচিতি ও সম্পর্কের সূত্রে সরলতার সুযোগ নিয়ে অথবা ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের গোপন ভিডিও ধারণ করে জিম্মি করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক ও অনৈতিক সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছে ভিডিও ধারণকারীরা। প্রতিদিনই পুলিশের কাছে এসব বিষয়ে শতাধিক অভিযোগ জমা পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, নিজের ঘরে, রাস্তা-ঘাটে, নিজের অজান্তে গোপন ভিডিও ধারণের শিকার হয়ে হাজার হাজার মানুষ জিম্মিদশায় পড়ছে। সামাজিক অবক্ষয়ে এই অপরাধটি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হয়ে যাওয়া, প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার কারণে সাইবার অপরাধ পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। প্রতারকদের ফাঁদে পড়া মানুষ তাদের অনৈতিক চাওয়া পাওয়া পূরণে রাজি না হলে তার কপালে যে কী ধরনের দুর্গতি নেমে আসে তা ভুক্তভোগী ছাড়া কারও বোঝার উপায় নেই। প্রথমে তার অডিও ভিডিও ক্লিপ পাঠানো হয় পরিবারে এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের কাছে। এতেও সুবিধা না মিললে ভুক্তভোগীর স্কুল, কলেজে, ভার্সিটি কিংবা কর্মস্থলে জনে জনে ছড়িয়ে দেওয়া হয় আপত্তিকর ভিডিওচিত্র। এসব ক্ষেত্রে প্রকৃত ভিডিওচিত্রই যে ছড়িয়ে দেওয়া হয় তা নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্লুফিল্মের নগ্ন দৃশ্যাবলির সঙ্গে চেহারা জুড়ে সুপার ইম্পোজ করা ভিডিওচিত্রও ভাইরাল করা হয়। এমন পরিস্থিতির শিকার নারী পুরুষের অবস্থা কী দাঁড়ায় তা সহজেই অনুমান করা সম্ভব। তার শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটে, চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়, সামাজিক যোগাযোগ এমনকি আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় পুরোপুরি। টানা ঘরবন্দী থাকাবস্থায় রীতিমতো মানসিক রোগীতে পরিণত হওয়ার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।
সম্পর্কের সূত্র ধরে ঘনিষ্ঠ মেলামেশার দৃশ্যাবলি গোপনে ভিডিও করে তা প্রতারণামূলক কাজে ব্যবহারের অভিযোগ তুলে গেল পাঁচ মাসেই দেশে চার শতাধিক মামলা দায়েরের খবর পাওয়া গেছে। রাজধানী ঢাকাতেই এ ধরনের মামলা হয়েছে প্রায় দেড়শটি। তবে এর চেয়েও কয়েক গুণ বেশি ভুক্তভোগী রয়েছেন যারা লোকলজ্জার ভয়ে থানা, পুলিশ, মামলা থেকে বিরত রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার কেবল এক দিনেই সাতটি অভিন্ন ঘটনার উদাহরণ মিলেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) নেত্রকোনা ও কুষ্টিয়ায় দুই গৃহবধূ, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার ও কালিয়াকৈরে দুই স্কুলছাত্রী, চট্টগ্রামে কিশোরী, রাজধানীর মিরপুরে এক তরুণী এবং পঞ্চগড়ে এক এনজিও কর্মীর গোপন ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে থানা-পুলিশ হয়েছে। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গোপন অডিও-ভিডিও ফাঁস করে নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে সুযোগ সন্ধানীরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের আওতাধীন সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধ দ্রুত তদন্তপূর্বক অপরাধীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে তাদের সফলতায় অনেক ভুক্তভোগী কাক্সিক্ষত সুরাহাও পাচ্ছেন। কিন্তু ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, ঢাকার বাইরে সংঘটিত অনেক সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে নেওয়া আইনি পদক্ষেপে তেমন কোনো সুফল মেলে না। ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশনের এসব অপরাধ তদন্তে সক্ষমতা থাকলেও ঢাকার বাইরে পুলিশের তেমন একটা দক্ষতা নেই বললেই চলে। ফলে ভুক্তভোগীর আইনি পদক্ষেপ তদন্তের নামে অদক্ষতার জের বইতে হয় মাসের পর মাস।
ভুক্তভোগীদের হতাশা আর চাপা দীর্ঘশ্বাস : গত চার বছরে সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত নিপীড়ন নির্যাতনের পাঁচ সহস্রাধিক অভিযোগের মধ্যে সরাসরি ১ হাজার ৬৩৫টি অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। তাছাড়া সাইবার পুলিশ সেন্টারের ফেসবুক পেজে আরও ৩৮ হাজার ৬১০ জন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে শতকরা প্রায় ৭০ জন ভুক্তভোগীই হচ্ছেন নারী। বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সীমাহীন হতাশা আর দীর্ঘশ্বাসই শোনা গেছে। রাজধানীর খিল

খবরটি ফেসবুকে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বত্ব © ২০২২ দৈনিক লালমাই সম্পাদক ও প্রকাশক: মোস্তফা কামাল মজুমদার
প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানঃ লাকসাম আই.টি: 01712-808501