চন্ডিমুড়ার ইতি কথা
সপ্তম শতাব্দীতেএদেশে বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও হিন্দু সনাতন সংস্কৃতি প্রায় একই সময়ে পাশাপাশি অবস্থান করেছিল।খড়গ্ বংশীয় বৌদ্ধ রাজাদের প্রদত্ত “আশ্রাফপুর তাম্রফলক” উৎকীর্ন লেখামালা হতে জানা যায় যে, বৌদ্ধরাজ দেবখড়গ্ এর মহীয়সী রানী “প্রভাবতী” ছিলেন জন্সগতভাবে হিন্দু বংশোদ্ভুত। তিনি ছিলেন আথ্যাত্মিক বিদুষী রমনী। সেখানেই রানীর ইচ্ছানুসারে মহারাজা শ্রী শ্রী চন্ডী মন্দির স্থাপন করে দেন। তিনি বৌদ্ধ হয়েবো অষ্টভূজা শর্বানী মা- চন্ডীর পূজা করতেন।এ উপমহাদেশের ইতিহাস খ্যাত শ্রী শ্রী চন্ডিমাতার মন্দির সর্ম্পকে সারা দেশের আবাল বৃদ্ধ বণিতা পরিছিত। চন্ডী দেবীর মন্দির চন্ডীমুড়ার রাজা-মহারাজাদের ইতিহাসের এক উজ্জল নক্ষত্র।কুমিল্লা জেলার লালমাই এর উত্তর দক্ষিনে প্রায় ১১ মাইল দীর্ঘ লালমাই ময়নামতি পাহাড়ের দক্ষিণ প্রান্তে সর্ব্বোচ্চ পাহাড়চূড়ায় এর অবস্থান।
কিভাবে যাওয়া যায়: কুমিল্লা সদর থেকে প্রায় ১৪-১৫ কিলোমিটার দক্ষিনে, কুমিল্লা চাদপুর জেলাসড়কের লালমাই নামক পাহাড়ী অংশে এর অবস্থান। জেলা সদর থেকে বাস,সিএনজি,অটোরিক্সাযোগে মাত্র ৪০ মিনিটের মধ্যে মন্দিরে যাওয়া যায়।অথবা কুমিল্লা রেলষ্ট্রেশন থেকে লোকাল ট্রেনে লালমাই রেলষ্টেশনে নেমে ১৫ মিনিটে পায়ে হেটে অথবা রিক্সায়/সিএসজি তে দর্শনীয় এই স্থানে পৌছা সম্ভব।
Leave a Reply