★ফ্যাটি লিভার ব্যাধি ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা।★
[Fatty liver disease & homoeopathy treatment]
বর্তমানে বিশ্বে ২৫-৩০ শতাংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। এটিকে এক সময় ধনী দেশের রোগ মনে করা হলেও এখন সব দেশেই সমান হারে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের দেশে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে আক্রান্তের হার প্রায় ৩০ শতাংশ। শহরে এ সংখ্যা আরও বেশিই হবে। এটি কিন্তু খুবই উদ্বেগের।
বর্তমানে একাধিক শারীরিক অসুস্থতার কারণ হল অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। তার মধ্যে একটি অবস্থা হল ফ্যাটি লিভার বা লিভারে ফ্যাট জমা হওয়া। লিভারে ফ্যাট উৎপন্ন হওয়ার অবস্থাকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়।
যকৃৎ, আপনি যা খান বা পান করেন তা হজম করতে সাহায্য করে এবং রক্ত থেকে ক্ষতিকারক পদার্থকে অপসারণ করে। যদি লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়, তাহলে এই প্রক্রিয়াতে বাধা সৃষ্টি হয়। এটি চর্বি যকৃতে সংক্রমণ ছড়ায় এবং পরবর্তী সময়ে এটি লিভার ফীব্রসিসে পরিণত হয়। ফ্যাটি লিভার এমনিতেই ক্ষতিকারক, কিন্তু যখন উচ্চ পর্যায় পৌঁছে যায় তখন এটা জীবন-মরনের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়।
★ঘরোয়া চিকিৎসা:
১. কফি
গবেষণামতে, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত কফি পান করতে পারেন। নিয়মিত কফি পান করার ফলে লিভার তুলনামূলকভাবে ভালো থাকে।
২. ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার
লিভারের রোগীদের জন্য ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার খাওয়া খুবই উপকারী।
৩. আখরোট
লিভারের স্বাস্থ্যরক্ষা করতে আখরোট অনেক উপকারী ভূমিকা রাখে।
৪. গ্রিন টি
লিভারের রোগীদের জন্য অন্যতম একটি আদর্শ পানীয় হচ্ছে গ্রিন টি। লিভারে জমে থাকা চর্বি কমাতে পারে।
৫. অলিভ ওয়েল
অলিভ ওয়েল বা জলপাইয়ের তেল শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে। আর এ তেলটি অতিরিক্ত ওজন খুব দ্রুত কমাতে পারে।
আপনি যদি এটিকে নিয়ে অবহেলা করেন তাহলে নানান লিভারের সমস্যা দেখা যায় যা স্থায়ী এবং অপরিবর্তনীয়, এবং এতে আপনার জীবন সংশয়ের ঝুঁকিও বেড়ে যাবে। ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসার কোন স্থায়ী চিকিৎসা হয় না। যদি শুরুর দিকে রোগটি নির্ণয় করা যায় তাহলে এর অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজে বের করে তার চিকিৎসা করা যায় এবং পুনরায় সুস্থ করে তোলা যায়। হোমিওপ্যাথি রোগের অন্তর্নিহিত কারণকে খুঁজে বের করে এবং এটি ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসার জন্য আদর্শ। এটি এই রোগের লক্ষণকে কমায় এবং লিভারের কাজকে সচল রাখে এবং অবস্থার পরিবর্তন ঘটে যদি শুরুতেই চিকিৎসা করা হয়।
★যা খাবেন না
শর্করা, বিশেষ করে সহজ শর্করা কমিয়ে দিতে হবে। অতিরিক্ত শর্করাই চর্বি হিসেবে যকৃতে জমা হয়। তাই সাদা ভাত, মিষ্টি ও চিনিযুক্ত খাবার, কোমল পানীয়, চকলেট, আইসক্রিম, মিষ্টান্ন বা ডেজার্ট ও বেকারির খাবার যথাসম্ভব কমিয়ে দিন। এ ছাড়া অ্যালকোহল, সাদা আটা, তেলে ভাজা খাবার, কাঁচা লবণ, রেড মিট (গরু-খাসির মাংস) এড়িয়ে চলতে হবে।
★হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা :
হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হয়, যা বহু গবেষণার পর রোগের লক্ষণ গুলি বিবেচনা করে রোগীকে দেওয়া হয়। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা খুব জনপ্রিয়। প্রতিকারে প্রত্যেকের লক্ষণ আলাদা ভাবে বিবেচনা করার পরই কোন সার্বিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। হোমিওপ্যাথিতে সমস্ত লক্ষণ গুলির প্রতিকার করতে দক্ষ এবং এই অবস্থার অবসান ঘটিয়ে পুনরায় ফিরে আসতে দেয় না।
হোমিওপ্যাথি ঔষধ যদি কম পরিমানে গ্রহণ করা হয় তাহলে তার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না, কিন্তু কখনও নিজে থেকে কোন ঔষধ গ্রহণ করা উচিৎ নয়। আপনি যদি ফ্যাটি লিভার ব্যাধি সমস্যায় ভোগেন, তাহলে দ্রুত রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন যে আপনার রোগ লক্ষণ অনুযায়ী আপনার সঠিক চিকিৎসা প্রদান করবে। হোমিওপ্যাথিতে রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়। আপনাকে অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিতে হবে, হোমিওপ্যাথিতে ফ্যাটি লিভার প্রায় শতভাগই নির্মূল হয়ে যায়। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় আধুনিক ও অভিজ্ঞ রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের মাধ্যমে কোন ধরনের অস্ত্রোপচার ছাড়াই সুস্থতা লাভ করা সম্ভব এবং রোগীর লক্ষণগুলো সংগ্রহ করে সঠিক ঔষধ নির্বাচন করতে পারলে ফ্যাটি লিভারে হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।
★পরামর্শ
নিয়ন্ত্রিত খাবারের সাথে সাথে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।
ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরল নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
ডায়াবেটিস এবং ফ্যাটি লিভার ডিজিজ একসাথে হতে পারে, কাজেই এ ব্যাপারে সবসময় সজাগ থাকতে হবে।
★বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বীকৃত বিজ্ঞানসম্মত প্রাকৃতিক ও নিরাপদ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গভ. রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের নিকট হতে চিকিৎসা গ্রহণ করুন এবং সুস্থ থাকুন।
ডাঃমহিবুল ইসলাম মাছুম
গর্ভ রেজি:-১৬৭৪৩
নিরাময় হোমিও হল
বাগমারা বাজার, লালমাই, কুমিল্লা।
Leave a Reply